আমার সোনার বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রচনাকাল ও জাতীয়করণ:
আমার সোনার বাংলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।বঙ্গমাতা সম্পর্কে এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯০৫ সালে রচিত হয়। বাউল গায়ক গগন হরকবার গান "আমি কোথায় থেকে পাব তারে" থেকে এই গানের সুর ও সঙ্গীত উদ্ভূত।
১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ চরণ সদ্যগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
ব্যুৎপত্তি:
সোনা শব্দটির অর্থ "স্বর্ণ", আর সোনার শব্দটির আক্ষরিক অর্থ "স্বর্ণের অন্তর্গত", বা "স্বর্ণ দিয়ে তৈরি" এবং "আর" দখল করে। এটি "প্রিয়" অর্থপ্রিয় পরিভাষা হিসাবে ব্যবহৃত, কিন্তু গানের মধ্যে সোনার বাংলা শব্দটি বাঙালির মূল্যবোধ প্রকাশ করতে পারে বা ফসল তোলার আগে ধানক্ষেতের রঙের তুলনা বোঝানো হয়েছে।জাতীয় সংগীত
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি|
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস
আমার প্রাণে ,ওমা আমার বাজায় বাঁশি।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে–
মরি হায়, হায় রে
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে
ঘ্রাণে পাগল করে–
ওমা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে
কী দেখেছি , আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো,
কী স্নেহ, কী মায়া গো,–
কী আঁচল বিছায়েছ
বটের মূলে,
নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো-
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর মুখের বাণী
আমার কানে লাগে
সুধার মতো-
মা তোর বদন খানি মলিন হলে
আমি নয়ন
ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি,
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।।
কোন মন্তব্য নেই: