উপমহাদেশের পল্লীগীতির সুরসম্রাট জাদুকরি শিল্পী আব্বাস উদ্দীন আহমেদ তার দরদী-দরাজ কণ্ঠে প্রাণময় হয়ে ওঠে খরতাপের দহনে আধপোড়া পৃথিবীবাসীর কিংবা বাংলার জনগণের দু’হাত তুলে আল্লাহ-তায়ালার দরবারে আকুল ফরিয়াদ-চাই শীতল মেঘের ছায়া। চাই একটু বৃষ্টির ধারা। ঠান্ডা হাওয়ায় বুকভরা শ্বাস-প্রশাসে চাই স্বস্তি চাই শান্তি। তাইতো আর কন্ঠে গেয়ে ওঠেছিল "আল্লাহ মেঘ দে পানি দে , ছায়া দে রে তুই"।
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে
শিল্পীঃ আব্বাস উদ্দীন আহমদ
গীতিকার ও সুরকারঃ জানা যায়নি
(তৃতীয় শ্রেণি)
বেলা দ্বি প্রহর, ধু ধু বালূচর
ধূপেতে কলিজা ফাটে পিয়াসে কাতর....
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ মেঘ দে
আসমান হইলো টুডা-টুডা
জমিন হইলো ফাডা
আসমান হইলো টুডা-টুডা
জমিন হইলো ফাডা
মেঘ রাজা গোমরাইয়া রইছে
মেঘ দিবো তোর কেডা
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
ফাইট্টা ফাইট্টা রইছে যত খালা-বিলা-নদী
ফাইট্টা ফাইট্টা রইছে যত খালা-বিলা-নদী
পানির লাইগা কাইন্দা ফিরে পঙ্খী জলধি
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
হালের গরু বাইন্ধা গিরস্ত মরে কাইন্দা
হালের গরু বাইন্ধা গিরস্ত মরে কাইন্দা
হাওয়ার পানে ছডোফডো নারী নাঙটি করে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
ও আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
কপোত-কপোতি কান্দে খোপেতে বসিয়া
কপোত-কপোতি কান্দে খোপেতে বসিয়া
শুকনা ফুলের কলি পড়ে ঝড়িয়া ঝড়িয়া
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে..।
**********************************************
কোন মন্তব্য নেই: